নাটোর: নাটোরের শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টারে ফ্রিল্যান্সারদের সাথে মত বিনিময় করেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এম.পি এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ।
মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এম.পি বলেন, বাংলাদেশ দ্রুত উন্নত দেশের কাতারে অগ্রসরমান। এদেশের মোট জনগোষ্ঠীর ৭০ ভাগ অর্থাৎ ১১ কোটি তরুণ-তরুণী উন্নত বাংলাদেশ তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। প্রযুক্তি খাতে তাদেরকে সম্পৃক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রনয়ন করা হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, আগামী ৫ বছরে তথ্য প্রযুক্তি খাতে ২০ লাখ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান হবে। তারা ডিজিটাল সৈনিক হিসেবে জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের সহযোদ্ধা হিসেবে কাজ করবে। দেশের তরুণ প্রজন্ম ২০২১ সাল নাগাদ তথ্য প্রযুক্তি খাতে ৫ বিলিয়ন বৈদেশিক মুদ্রা আয় করবে।
প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, রাজশাহী-বগুড়া ও পাবনার কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থিত নাটোরে দেশের প্রথম ইনকিউবেশন সেন্টার নির্মাণের মধ্য দিয়ে প্রযুক্তির কেন্দ্র স্থল হিসেবে নাটোর অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। অদূর ভবিষ্যতে এর সুফল সারাদেশের সাথে বিনিময় করা যাবে বলে প্রতিমন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ বলেন, প্রত্যেক ফ্রিল্যান্সাররাই এক একজন মেন্টর। তাদের হাতেই এদেশ একদিন সোনার বাংলা হবে এবং সেদিন সমাগত প্রায়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত নাটোর সদর-নলডাঙ্গা আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শফিকুল ইসলাম শিমুল বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণে নাটোর হবে উন্নয়নের রোল মডেল।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন নাটোর জেলা ফ্রিল্যান্সার এসোসিয়েশনের সভাপতি গোলাম মওলা শাহীন, ফ্রিল্যান্সার মোঃ সোহাগ হোসেন ও সুরভী রহমান।
নাটোরের জেলা প্রশাসক শাহিনা খাতুন সভা প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নাটোর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট সাজেদুর রহমান খান, পুলিশ সুপার বিপ্লব বিজয় তালুকদার, নাটোর পৌরসভার মেয়র উমা চৌধুরী জলি ও জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট সিরাজুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে অতিথিবৃন্দ ফ্রিল্যান্সারদের কর্মক্ষেত্র সম্পর্কে খোঁজ খবর নেন। তাদের পেশাগত সমস্যা ও উত্তরণের উপায় সম্পর্কে ধারনা গ্রহন করেন এবং প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা প্রদান করেন।
উল্ল্যেখ্য, নাটোরের পুরনো জেলখানা ভবন এলাকায় ২.৫ একর জমির উপরে ছয় কোটি ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার নির্মাণ কাজ সম্প্রতি শেষ হয়। এরমধ্যে রয়েছে পুরনো জেলখানা ভবন সংস্কার করে প্রশিক্ষণ সেন্টার তৈরী ও ছয়তলা ফাউন্ডেশনের উপর নতুন দ্বিতল ভবনে ইনকিউবেশন সেন্টার নির্মাণ। সেন্টারটিতে গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন এন্ড ডেভেলপমেন্ট, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন, কম্পিউটার হার্ডওয়্যার এন্ড নেটওয়ার্কিং ট্রাবলশ্যুট এবং কন্ডাক্টিং ই-কমার্স ওয়েবসাইট ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে শিক্ষিত তরুণ-তরুণীকে প্রশিক্ষণ প্রদানের কার্যক্রম চালু করার পর ২১ টি ব্যাচে মোট ৪৮০ জন প্রশিক্ষণার্থী তাদের প্রশিক্ষণ ইতোমধ্যে শেষ করেছেন। প্রতিষ্ঠানটিতে এখন ইনকিউবেশনের কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে।