নাটোর অফিস ॥
নাটোরের সিংড়ায় অভ্যন্তরিন বিরোধের জেরে একই দিনে উপজেলার ১২ ইউনিয়নে বিএনপির পাল্টাপাল্টি আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন দিয়েছে দুটি পক্ষ। একটির স্বাক্ষর করেছেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এড. মজিবর রহমান মন্টু ও সদস্য সচিব দাউদার মাহমুদ। অপরপক্ষে স্বাক্ষর করে ওই ১২ ইউনিয়ের পাল্টা কমিটির অনুমোদন দিয়েছেন উপজেলা বিএনপির চারজন যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আনোয়ারুল ইসলাম আনু, এড. ইউসুফ আলী, শারফুল ইসলাম বুলবুল ও শাহাদৎ হোসেন। এই পাল্টাপাল্টি দু’টি করে কমিটি অনুমোদিত হওয়ায় উপজেলা জুড়ে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় শুরু হয়েছে। দুই পক্ষের অনুমোদনকৃত কমিটির প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ রয়েছে জেলা বিএনপির নির্দেশক্রমে সাংগঠনিক তৎপরতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
বুধবার বিকেলে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মজিবর রহমান মন্টু এবং সদস্য সচিব দাউদার মাহমুদ সাক্ষরিত পত্রে উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন বিএনপির কমিটি ঘোষণা করা হয়। অপরদিকে রাতে উপজেলা বিএনপির চার যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আনোয়ারুল ইসলাম আনু, এড. ইউসুফ আলী, শারফুল ইসলাম বুলবুল ও শাহাদৎ হোসেন স্বাক্ষরে ১২টি ইউনিয়নের পাল্টা কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এ নিয়ে উপজেলা জুড়ে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় বইছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলের মীর্ষ পর্যায়ের বেশ কয়েজন নেতা-কর্মী জানান, পাল্টাপাল্টি কমিটির বিষয়ে জেলা বিএনপি তাদের সিদ্ধান্ত জানাতে কালক্ষেপন করছে। এতে করে নেতৃবৃন্দ ও কর্মী-সমর্থকরা বিব্রতসহ বিড়ম্বনায় পড়েছেন। দ্রুত সমাধান না হলে দলের মধ্যেকার অভ্যন্তরিন বিরোধ প্রকাশ্য রুপ ধারন করবে।
উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব দাউদার মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কমিটির অনুমোদন দেয় আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব। উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সকল নেতৃবৃন্দের সাথে পরামর্শক্রমে আমরা কমিটির অনুমোদন দিয়েছি। কমিটিতে ত্যাগী ও নির্যাতিতদের রাখা হয়েছে যাতে সাংগঠনিত তৎপরতা বৃদ্ধি পায় এবং দল শক্তিশালী হয়।
উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আনোয়ারুল ইসলাম আনু বলেন, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদনপত্রে উল্লেখ ছিল আহ্বায়ক, সদস্য সচিব ও যুগ্ম আহ্বায়কদের সাক্ষরে ইউনিয়ন কমিটি হবে। কিন্তু যুগ্ম আহ্বায়কদের না জানিয়ে কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়েছে তাই দ্বিমত পোষণ করে আমরাও কমিটি দিয়েছি।
নাটোর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক বলেন, এব্যাপারে উভয়কেই ডাকা হয়েছে। প্রত্যেকের বক্তব্য শুনে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে। দলের ভিতরের ঐক্য অটুট রাখতে যা প্রয়োজন সেটাই করা হবে।