নাটোর অফিস ॥
নাটোরে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে গত একমাসে আদায়কৃৃত জরিমানার ২০ লাখ ৯ হাজার ৯শ টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা করা হয়েছে। এছাড়া একই সময়ে ২২ ব্যক্তিকে কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে। রোববার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জেলা আইন শৃংখলা কমিটির সভায় এ তথ্য জানানো হয়। জেলা প্রশাসক মোঃ শাহরিয়াজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় জানানো হয়, গত একমাসে ৬৯টি অভিযান পরিচালনা করে ১৫২টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া একই সময়ে পরিচালিত ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে অভিযুক্ত ২২ ব্যক্তিকে কারাদন্ড প্রদান করা হয়। সভায় অন্যান্যের মধ্যে সংরক্ষিত মহিলা আসনের (নাটোর সদর ও নওগাঁ) সংসদ সদস্য রতœা আহমেদ ,জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সাজেদুর রহমান খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারিক জুবায়ের, পৌরমেয়র উমা চৌধুরী জলিসহ জেলা আইন শৃংখলা কমিটির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় সহকারী কমিশনার রোকসানা খাইরুন নেছা জানান, গত ফেব্রুয়ারি মাসে জেলায় পরিচালিত মোট ৬৯টি অভিযানের মধ্যে সর্বোচ্চ ১৫টি অভিযান ছিল মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ অনুযায়ী। এই আইনে ২৯টি মামলার অনুকূলে জরিমানাভূক্ত ১১ আসামী মোট ৪২ হাজার টাকা জরিমানা প্রদান করেছে এবং কারাদন্ডপ্রাপ্ত আসামীর সংখ্যা সর্বোচ্চ ১৮ জন। একই সময়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন,২০০৯ অনুযায়ী ১১টি অভিযান পরিচালনা করে ১৮টি মামলার বিপরীতে ১৭ অভিযুক্তের কাছ থেকে চার লাখ ৮১ হাজার ১০০ টাকা জরিমানার অর্থ আদায় করা হয় এবং একজনকে কারাদন্ড প্রদান করা হয়। উল্লেখিত সময়ে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন আইন,২০১৩ অনুযায়ী দায়েরকৃত ১০টি মামলার বিপরীতে সর্বোচ্চ নয় লাখ ৭৫ হাজার টাকা এবং বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ অনুযায়ী পাঁচটি মামলার বিপরীতে তিন লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। মোট ১৬টি আইনে অভিযান পরিচালন করে ভ্রাম্যমান আদালত জরিমানার অর্থ আদায় করে। একই বছরের জানুয়ারি মাসে জেলায় একই সংখ্যায় ৬৯টি অভিযান পরিচালনা করে ১৬৪টি মামলা দায়ের করা হয়। এই সময়ে ২১৮ জন অভিযুক্ত ব্যক্তি মোট ১১ লাখ ২২ হাজার ২০০ টাকা জরিমানার অর্থ আদায় করা হয় এবং ২৭ জনকে কারাদন্ড প্রদান করা হয়। সভায় আরও অবহিত করা হয়, ফেব্রুয়ারি মাসে জেলায় মোট আটটি বাল্য বিবাহ রোধ করা হয়েছে। এই সময়ে সংঘটিত অপরাধের সংখ্যা ২৬৩টি। যা বিগত বছরের একই সময়ে সংঘটিত ৩৬৮টি মামলার তুলনায় ১০৫টি কম।
জেলা প্রশাসক মোঃ শাহরিয়াজ বলেন, দেশের স্বার্থে এবং জনজীবনকে স্বাভাবিক রাখতে জেলায় ভ্রাম্যমান আদালতের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।