মো. আশিকুর রহমান টুটুল, লালপুর অফিস॥
নাটোরের লালপুরে বাড়ছে বিনা হালে রসুনের চাষ। খরচ কম, ফলন বেশি ও বাজারে চাহিদা বেশি থাকায় প্রতিবছরই রসুনের চাষের পরিধি বাড়ছে। চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় রেকর্ড পরিমান জমিতে রসুনের চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ও সময়মত পরিচর্যা করায় এবার রসুুনের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে আশা করছে কৃষি বিভাগ ও চাষীরা। তবে উৎপাদিত রসুনের বাজার দর নিয়ে হতাশায় রয়েছেন এ উপজেলার চাষীরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানাগেছে, ‘গত বছর উপজেলায় ১হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে রসনুনের চাষ হয়েছিলো। চলতি মৌসুমে এই অঞ্চলে ১হাজার ৫১০ হেক্টর জমিতে রসুনের চাষ হয়েছে। যা এই উপজেলায় রেকোর্ড পরিমান । হেক্টর প্রতি ৮ মেক্ট্রিকটন হারে এবছর উপজেলায় ১২ হাজার ৮০ মেক্ট্রিকটন রসুন উৎপাদনের লক্ষমাত্রা নির্ধারন করেছে। তবে শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে লক্ষমাত্রার চেয়ে বেশি রসুন উৎপাদন হবে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে উপজেলার প্রতিটি এলাকার মাঠে এখন রসুুনের সমারহ। শেষ মুহুর্তে রসুনের জমিতে পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা। আর কিছু দিন পরেই জমি থেকে রসুন ঘরে তুলতে শুরু করবে কৃষকরা।
শত ব্যস্ত দেখেও কথা বলতে চাইলে রসুন চাষী মজনু আলী জানান,‘অন্য আবাদের চেয়ে রসুুন চাষে খরচ কম হয়। এক বিঘা জমিতে রসুুন চাষ করতে বিজ, শ্রমিক ও সারসহ ৪০ হাজার টাকা খরচ হয়।’
চাষী মুজাম আলী জানান,‘গত বছর রসুনের দাম ভালো থাকায় এবার ৪ বিঘা জমিতে রসুনের চাষ করেছি। কয়েক দফা ঘনকুয়াশায় রসুনের কিছুটা ক্ষতি হলেও এবার রসুন ভালো হয়েছে। বজারে ভালো দাম পেলে এক বিঘা জমির রসুন বিক্রয় হবে ৬০-৭০ হাজার টাকা।’
রসুন চাষী নাজমুল হক জানান, ‘সরকার যদি দেশের বাহির থেকে রসুন আমদানি না করে তাহলে এবার বাজারে সঠিক দামে রসুুন বিক্রয় করে লাভবান হবেন বলে রসুন চাষীরা।’
লালপুর উপজেলা কৃষি অফিসার রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন,‘এবছর লালপুরে রেকোর্ড পরিমান জমিতে রসুনের চাষ হয়েছে। ঘণকুয়াশায় রসুনের কিছুটা ক্ষতি হলেও শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে রসুনের বাম্পার ফলন হবে। বাজারে সঠিক দাম পেলে এই অঞ্চলের রসুন চাষীরা লাভোবন হবে পাশাপাশি আগামীতে এই অঞ্চলে রসুনের চাষ বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করেন তিনি। সেই সঙ্গে রসুন চাষে কৃষকদের সার্বিক সহযোগিতায় মাঠ পর্যায়ে কৃষি বিভাগ কাজ করছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।’