নাটোরঃ নাটোরে স্মার্ট জাতীয় পরিচায় বিতরণে অব্যবস্থাপনার অভিযোগ করেছেন পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের মানুষ। বৃহস্পতিবার নাটোর পৌরসভার এই ওয়ার্ডে প্রথমদিন স্মার্ট জাতীয় পরিচায় বিতরণের নির্ধারিত দিন ছিল। বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল স্মার্ট কার্ড বিতরনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এই ওয়ার্ডে মোট কার্ডধারীর সংখ্যা ৩ হাজার ৯৭৩ জন। কিন্তু অব্যবস্থাপনার কারনে বিতরণের প্রথমদিনে এই ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের অনেককে কার্ড না নিয়েই ফিরে যেতে হয়েছে। তাদের অভিযোগ ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকতে গিয়ে ভোগান্তিসহ অসহনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। বিশেষ করে নারী বৃদ্ধদের পোহাতে হয়েছে অসহনীয় দুর্ভোগ। কার্ড বিতরণের জন্য ছিলনা কোন নিয়ম শৃংখলা। মানুষ নিজেরাই লাইন করে দাঁড়ালেও কার্ড বিতরণের গতি ছিল শ্লথ।
কান্দিভিটা এলাকার বাসিন্দা গণমাধ্যম কর্মী জুলফিকার হায়দার জোসেফ জানান, নারী পুরুষের ভীড় দেখে তিনি দুপুর ২টার দিকে নাটোর পিটিআই কেন্দ্রে যান স্মার্ট গার্ড গ্রহণের জন্য। কিন্তু বিকেল ৪টার পরও ভীড় না কমায় তিনি ফিরে আসেন।
বেলা দুইটার পর কার্ড নিতে এসে দীর্ঘ লাইনে দাড়িয়ে থাকা বাদল শেখ, সোলেমান,ফজলুর হক জানান, তারা প্রায় ২ তেকে ৩ ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। ভীড় না কমায় ফিরে এসছেন। সাবরিনা বেগম ও নিগার সুলতানা কার্ড নিতে তীব্র তাপাদহের মধ্যে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন।
স্থানীয়রা জানায়, দু’টি বুথে এই স্মার্ট কার্ড বিতরণ করার কারনে কাজের গতি ছিলনা। একটি বুথে পুরুষ এবং অপর বুথে নারীদের জন্য কার্ড বিতরণ করা হয়। দু’জন করে মোট চারজন কার্ড সরবরাহ কাজে নিয়োজিত ছিলেন। বিকেল ৫টার পরও মানুষ লাইনে দাড়িয়ে ছিলেন।
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, নাটোরে ৯টি টিমে মোট ২৭ জন স্মার্ট জাতীয় পরিচায় বিতরণের কাজ করছেন। প্রতিটি টিমে তিনজন করে এবং একজন তদারকি অফিসার হিসেবে কাজ করছেন। প্রথম দিন বৃহস্পতিবার নাটোর পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের ৩ হাজার ৯৭৩ জনকেস্মার্ট জাতীয় পরিচায় বিতরণ করা হচ্ছে। কার্ডধারী মানুষের জন্য শহরের পিটিআই স্কুলে এই কার্ড বিতরণ করা হয়। প্রতিটি টিমে তিনজন করে ৬ জন এবং একজন তদারকি কর্মকর্তা করছেন। এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে জেলা নির্বাচন অফিসার আব্দুর রহিম জানান, প্রথম দিন কিছুটা সমস্যা হতে পারে। তবে বেলা ১২টার দিকে স্কুল পরিদর্শন করার সময় দেখেছে শান্তিপূর্ণ ও সুশৃংখল পরিবেশ বিরাজ করছিল। কার্ডগ্রহণকারীর সংখ্যাও কম ছিল। পরে হয়ত ভীড় বেড়ে যায়। তবে নির্দেশ দেওয়া আছে যতক্ষণ লাইনে মানুষ থাকবে ততক্ষণ কার্ড বিতরণ করার।