নাটোর অফিস ॥
প্রতিবছরের মত এবারেও নাটোরের বড়াইগ্রামের বনপাড়া খ্রিস্টান ধর্মপল্লীর গীর্জায় অনুষ্ঠিত হয়েছে লুর্দের রানী ‘মা মারীয়া’ তীর্থোৎসব। আজ শুক্রবার দিনভর এই তীর্থ উৎসবের মধ্যে ছিলো যপমালা প্রার্থনা, মহা খ্রিস্টযাগ, ঝরনার পানি আশির্বাদ, বৈঠকি গান ও ভোজ। ‘করোনা মুক্ত পৃথিবীর জন্য ‘মা মারীয়ার অনুগ্রহ প্রার্থনা’-ছিলো এবারের তীর্থোৎসবের মূল উদ্দেশ্য। সকালে যপমালা প্রার্থনার পর মহা খ্রিস্টযাগ উৎসর্গ করা হয়। রাজশাহী ক্যাথলিক খ্রিস্টান ধর্মপ্রদেশের বিশপ জের্ভাস রোজারিও এই খ্রিস্টযাগ পরিচালনা করেন। এ সময় সহযোগী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বনপাড়া খ্রিস্টান ধর্মপল্লীর প্রধান পাল-পুরাহিত ফাদার বিকাশ হিউবার্ট রীবেরু, ফাদার ড. শংকর ডমিনিক গমেজ, ফাদার নবীন পিউস কস্তা, ফাদার রহিত ম্রং সহ অন্যান্য ফাদারগণ। খ্রিস্টযাগ শেষে ঝরনার পানি আশীর্বাদ ও পরে গীর্জা মাঠে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্য বৈঠকি গানে অংশ নেয় বনপাড়া ও ভবানীপুর ধর্মপল্লীর দুই দল শিল্পী। তীর্থোৎসবে উপজেলার বিভিন্ন ধর্মপল্লী থেকে ৩ সহস্রাধিক খ্রিস্ট ভক্ত অংশগ্রহণ করেন।
খ্রিস্টিয় বিশ্বাস মতে, ১৯৫৮ সালের ১১ ফেব্রুয়ারী তারিখে ফ্রান্সের দক্ষিণাঞ্চলে দরিদ্র কিশোরী বার্নাদেত্তাকে মা মারীয়া প্রথম দর্শন দেন এবং দর্শন দেওয়ার পর সেখানে আশ্চর্যজনক ভাবে একটি ঝরনার সৃষ্টি হয়। সেই ঝরনার পানি পান করে বহু মানুষ বিভিন্ন রোগ থেকে আরোগ্য লাভ করে আসছে। এই কারণে ফ্রান্সের ওই এলাকাটি এখন মা মারীয়ার তীর্থস্থান হিসেবে খ্যাত হয়ে উঠেছে। মূলত: এই বিশ্বাস মতে প্রতিবছর একই তারিখে বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে এই তীর্থোৎসবের আয়োজন করা হয়।