নাটোর অফিস॥
নাটোরের লালপুর উপজেলার কদিমচিলার ইউপির সেকচিলান উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা প্রশাসনের ১৪৪ ধারা জরি সত্তেও কমিটি ঘোষনা করেছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুল। বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) দুপুর ৩ টার সময় সেকচিলান উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দলীয় নেতাকর্মী নিয়ে উপস্থিত হয়ে এই কমিটি ঘোষনা করেন তিনি। তবে সাংসদ শহিদুল ইসলাম বকুল ঘটনাস্থলে গেলেও নিষেধাজ্ঞা জারির কথা শুনে তাৎক্ষনিক এলাকা থেকে চলে এসেছেন বলে জাগো নাটোরকে জানিয়েছেন। এর আগে ‘কদিমচিলান ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মাজেদুল হক এর আয়োজনে এবং ২ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি সাজাহান সিরাজ এর সভাপতিত্বে সংসদ শহিদুল ইসলাম বকুলকে প্রধান অতিথি করে সেকচিলান উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিকাল ৩ ঘটিকায় ১, ২ ও ৩ নং ওয়ার্ডে সম্মেলন ডাকা হয়। পরে একই স্থানে অপর গ্রুপ সভা আহবান করায় উভয় পক্ষে উত্তজেনা সংঘাত এড়াতে বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টার দিকে ১৪৪ ধারা জরি করে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত সেকচিলান উচ্চ বিদ্যালয় মাঠের দুইশ গজের মধ্যে সকাল সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মুল দ্যুতি বানীন ।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মুল দ্যুতি বানীন বলেন, দু’টি পক্ষ একই স্থানে সম্মেলন করলে শান্তি-শৃঙ্খলা বিনষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই সেখানে ১৪৪ ধারা মোতাবেক নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।
লালপুর উপজেলা আওয়ালীগের সাধারণ সম্পাদক ইসাহাক আলী অভিযোগ করে বলেন,সাংসদ বকুল প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞাকে বৃদ্ধাংগুলি দেখিয়ে এলাকায় গিয়ে কমিটি ঘোষনা করেছেন। একজন সংসদ সদস্য যিনি আইনপ্রনেতা তিনি কিভাবে ১৪৪ ধারা জরি করা স্থানে দলীয় নেতাকর্মী নিয়ে উপস্থিত হয়ে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে কমিটি ঘোষনা করেন।
নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনের সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুল বলেন, কদিন আগে আমাকে কদমচিলান ইউনিয়নের ওয়ার্ড সম্মলনের প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়। সে অনুযায়ী যথা সময়ে এসেছিলাম। এসে জানতে পারি ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। তখন সভাস্থল ত্যাগ করে চলে এসেছি। কোন ধরনের কমিটি ঘোষনার প্রশ্নই ওঠেনা। একজন আইনপ্রণেতা হিসেবে আমি আইন ভঙ্গ করতে পারি না। তিনি বলেন,কেন্দ্রিয় সাংগঠনিক সম্পাদকের নির্দেশ রয়েছে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সকলকে নিয়ে ওয়ার্ড সমুহের কমিটি গঠন করতে হবে।