নাটোর অফিস॥
নাটোরের বাগাতিপাড়ায় তিন নৈশ প্রহরিকে বেঁধে রেখে ১১টি দোকানে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। বুধবার রাতে উপজেলার তমালতলা বাজারে এই দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বাগাতিপাড়া থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। বৃহস্পতিবার সকালে নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহসিন,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারেক জুবায়েরসহ, গোয়েন্দা পুলিশ ও সিআইডি পুলিশের একাধি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
নৈশ প্রহরী ও ব্যবসায়ীরা জানান, বুধবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ১৫ থেকে ২০জনের একটি ডাকাত দল বিভিন্ন অস্ত্র নিয়ে তমালতলা ব্রীজের দিক থেকে বাজারে আসে। তারা প্রথমেই তিন নৈশ প্রহরী মাজেদুর রহমান, ওমর আলী ও আবুল কালামের হাত পা বেঁধে পাশের লিচুবাগানে আটকে রাখে। পরে রাস্তার দুই পাশের ১১টি দোকানে তালা ভেঙ্গে নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এর মধ্যে উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অধ্যক্ষ (অবঃ) গোলাম মোস্তফা নয়নের রড, সিমেন্ট ও টিনের দোকান ফুয়াদ ট্রেডার্স থেকে এক লাখ সাড়ে ১২ হাজার, ছাত্রদলের বাগাতিপাড়া সদর ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক সুইটের রেজওয়ান ইলেকট্রনিক্স থেকে এক লাখ ৬০ হাজার টাকা ও মোবাইল সেট, শিফাত সু ষ্টোর থেকে ৫৯ হাজার, সজিব ষ্টোরে ৫৫ হাজারসহ, ব্রাদার্স ফার্মেসী, রোগ মুক্তি ফার্মেসী, সিটু ষ্টোর, সরকার ষ্টোর, শিমুল এগ্রো এন্টাপ্রাইজ, আলিফ ইলেকট্রনিক্স এন্ড হার্ডওয়্যাস এবং সিদ্দিক ষ্টোরের তালা ভেঙ্গে নগদ কয়েক লাখ টাকা নিয়ে চলে যায়।
বাজার কমিটির সভাপতি কাওসার আলী বলেন, প্রকাশ্য অস্ত্র নিয়ে দুঃসাহসিক এই ডাকাতির ঘটনায় সাড়ে চার লাখ নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন ডাকাতি হয়েছে। বাজারের একই পাশের এক সাথের ছোট-বড় ১১টি দোকানের তালা ভেঙ্গে নগদ টাকা লুটে নেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে বাগাতিপাড়া থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
বাগাতিপাড়া থানার ওসি নাজমুল হক বলেছেন, এ ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি। ব্যবসায়ীরা ডাকাতির মামলা দিলে নেয়া হবে। মামলা না হলেও ইতোমধ্যে বিষয়টির তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা যাবে।
পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা জানান, সংঘবদ্ধ ডাকাতদলকে ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।