নাটোর অফিস॥
নাটোরের বড়াইগ্রামে নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান বড়াল নদীর বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করেছেন। নদী পুনরুদ্ধার করে তা প্রবাহমান করার প্রক্রিয়া হাতে নিয়েছে সরকার। এরই অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে অবৈধ দখলমুক্ত করতে নদীর সীমানা নির্ধারণ করেছে নদী রক্ষা কমিশন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড। শুক্রবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার সহ একটি বিশেষ টীম বড়াইগ্রামের বড়াল নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে জরীপ কার্য চালায়।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, নাটোরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আশরাফুল ইসলাম, কমিশনের সহকারী প্রধান মাহমুদুল হাসান, সদস্য মো. আলাউদ্দিন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আল-আসাদ, নদী গবেষনা প্রকল্পের পানি সম্পদ বিশেষজ্ঞ সাজেদুর রহমান সরদার, বড়াইগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাইমেনা শারমিন সহ অন্যান্য কর্মকর্তা ও সার্ভেয়ারবৃন্দ।
জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার সাংবাদিকদের জানান, ক্যাডাস্ট্রাল সার্ভে (সিএস) রেকর্ড মূলে নদীর জায়গা চিহ্নিত করে নদী খনন করা হবে। এক্ষেত্রে এর পরের বা আগের কোন রেকর্ড কোনভাবেই আমলে নেয়া হবে না। দেশের প্রচলিত আইনমতেই অবৈধ দখলদারদের কাছ থেকে নদীকে দখল মুক্ত করা হবে। জোনাইল থেকে আটঘরিয়া পর্যন্ত ৪০ কিলোমিটার নদী খনন কাজ করা হবে। নদীর পাড় বাদেই স্থান ভেদে ২০০ থেকে ২৮০ ফুট পর্যন্ত চওড়া এবং গভীরতা সমতল হতে ৩০ ফুট পর্যন্ত করা হবে।