নাটোর অফিস॥
নাটোরের গুরুদাসপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স থেকে চুরি হওয়া শিশু তাইবাকে পুলিশ ৭ দিনেও উদ্ধার করতে পারেনি। গত ২৩ ডিসেম্বর ঠান্ডা জনিত রোগের চিকিৎসা নেওয়ার জন্য দুই মাসের কন্যা সন্তান তাইবাকে নিয়ে গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসেছিলেন সিমা খাতুর নামের এক মহিলা। ওই সময় হাসপাতালের চিকিৎসার জন্য আসা অজ্ঞাত এক নারী সিমাকে চিকিৎসকের কাছে থেকে চিকিৎসা নিয়ে আসতে বলে তার কাছ থেকে শিশুটিকে নেয়। অজ্ঞাত নারীর কাছে সন্তানকে রেখে ৫ মিনিটের জন্য তিনি বাহিরে যান। পরে ফিরে এসে দেখেন সেই নারী এবং তার শিশু কন্যা সন্তান সেখানে নেই। ঘটনার সাথে সাথে গুরুদাসপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ভিডিও ফুটেজে এক নারী চোরকে শনাক্ত করেন। তবে এখন পর্যন্ত ওই চোরকে ধরতে পারেনি পুলিশ। পুলিশ বলছে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই এ মামলা আশার মুখ দেখবে।
ঘটনার দিনই চুরি যাওয়া শিশু তাইবার বাবা তফিজ উদ্দিন বাদী হয়ে গুরুদাসপুর থানায় চুরি মামলা দায়ের করেন। তফিজ উদ্দিনের বাড়ি উপজেলার মশিন্দা মাছপাড়া গ্রামে। ৭ দিনেও চুরি হওয়া শিশু তাইবাকে না পেয়ে বাবা-মায়ের কান্নায় এলাকার পরিবেশ ভারি হয়ে উঠেছে। শিশুটির বাবা তফিজ উদ্দিন বলেন, আত্বীয় স্বজন সবাই মিলে আমাদের মত খোজাখুঁজি করছি। কিন্তু কোথাও আমার শিশু কন্যাকে পাচ্ছিনা। শিশুটির মা সিমা খাতুন শুধুই পলাব করছেন, আমার মেয়েকে এনে দাও। আমার মেয়ে ছাড়া আমি বাঁচবো না।
গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোঃ আব্দুর রাজ্জাক জানান, শিশুটিকে অধিকগুরুত্ব দিয়ে খোজা হচ্ছে। তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে কাজ চলছে। আশা করছি খুব অল্পসময়ের মধ্যেই এই মামলা আশার মুখ দেখবে।