নাটোর অফিস॥
অনুমোদিত ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবার নাটোরের বড়াইগ্রামে স্থাপনের দাবী উঠেছে। এই দাবীতে আজ রোববার বড়াইগ্রামের বনপাড়ায় মানববন্ধন করেছে এলাকার ১০ সহস্রাধিক মানুষ। ওই মানববন্ধন থেকে উপজেলার বনপাড়া পৌরসভা সংলগ্ন হরোয়া-বাহিমালী-ভবানিপুর এলাকার নর্থবেঙ্গল সুগার মিলস ইক্ষু খামার এলাকায় অনুমোদিত ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপনের দাবী করেন তারা। ঘন্টাব্যাপি আয়োজিত মানববন্ধনের ফলে পাবনা-নাটোর, ঢাকা-নাটোরসহ অভ্যন্তরিন সকল সড়ক যোগাযোগ বিঘ্নিত হয়।
মানববন্ধনে বিশ্ব বরেণ্য পরমানু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার নামে উত্তরবঙ্গের প্রশাসনিক রাজধানী নাটোরে ‘ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়’ স্থাপনের অনুমোদন দেয়ায় বড়াইগ্রাম-গুরুদাসপুর এলাকার সর্বস্তরের জনগণের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানানিয়ে বলেন-
নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার বনপাড়া পৌরসভাটি হচ্ছে উত্তরের বগুড়া, রংপুর, পশ্চিমের রাজশাহী, চাঁপাইনবাŸগঞ্জ ও দক্ষিণের কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, খুলনা এলাকার প্রবেশ দ্বার। এখানে সড়ক পথে যোগাযোগের ক্ষেত্রে দেশের সর্বোচ্চ যাতায়াত সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। আর বনপাড়া পৌরসভা সংলগ্ন হারোয়া-বাহিমালী-ভবানীপুর এলাকায় রয়েছে নর্থবেঙ্গল সুগার মিলস, নাটোরের ৭০১ একরের ইক্ষু খামার। এর মাঝেই ২২ একর সরকারি খাস জমি রয়েছে। এখানে বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপন করলে জমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত কোনো সমস্যা হবে না। এছাড়া পাশেই বাহিমালীতে রয়েছে একটি সরকারি হেলিপ্যাড। একটু পশ্চিমে আজিমনগর ,আব্দুলপুর ও দক্ষিনে মুলাডুলি রেল স্টেশন। বড়াইগ্রামে প্রায় ৫ লাখ মানুষের বসবাস। এখানে ১৭টি কলেজ, ৪৭টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ২৬টি মাদরাসা ও ৯৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এছাড়া এই কৃষি খামার সংলগ্ন রয়েছে কাদিরাবাদ সেনানিবাস, ঈশ্বরদী ইপিজেড, রূপপুর পারমাণুবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, ঈশ্বরদী ইক্ষু ও কৃষি গবেষণা কেন্দ্র, লালপুর অর্থনৈতিক জোন (প্রস্তাবিত)। উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা, চমৎকার ভৌগোলিক অবস্থান, জনসংখ্যা বিবেচনায় এবং সহজে জমি প্রাপ্তির সুবিধার কারণে এখানে প্রস্তাবিত ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়’টি স্থাপন করলে সকল দিক থেকে সময়োপযোগী ও সঠিক সিদ্ধান্ত হবে বলে এ এলাকার সর্বস্তরের জনগন ও শিক্ষার্থীরা বিশ্বাস করে।
স্বাস্থ্য বিধি মেনে জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেত্রীবৃন্দসহ সকল শ্রেণি পেশার ১০ সহস্রাধিক মানুষের অংশ গ্রহণে আয়োজিত মানবন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন বনপাড়া পৌর মেয়র কেএম জাকির হোসেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস, সম্পাদক মিজানুর রহমান, জেলা আওয়ামীলীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয় সম্পাদক অধ্যক্ষ আব্দুর রাজ্জাক মোল্লা, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ওয়াছেক আলী সোনার, প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি আবু শামা, মুক্তিযোদ্ধা শামসুল আলম, বণিক সমিতির সম্পাদক ময়েজ উদ্দিন, ডা. ওয়ালিউল ইসলাম প্রমুখ। পরে তারা জেলা প্রশাসক মোঃ শাহরিয়াজ মাধ্যম প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।