নাইমুর রহমান:
যানজটে প্রায়শই স্থবির হয় নাটোর। বিশেষ করে পিক আওয়ারে প্রতি ঘন্টার শুরুতে শহরে বেড়ে যায় যান চলাচল। ট্রাফিকের নির্দেশনা তোয়াক্কা না করে প্রায় প্রতিটি যানবাহনের চালকই স্বেচ্ছাচারী আচরণ করে থাকে। কখনও কখনও এ কাজে সাহায্য করে ট্রাফিক পুলিশেরই কতিপয় অসাধু সদস্য। সব মিলিয়ে সৃষ্টি হয় চরম যানজট।
তবে স্বেচ্ছাচারী আচরণ করা প্রতিটি যানবাহন চালকেরা কিছুটা সময়ের জন্য হলেও নিয়ম মেনে সারিবদ্ধভাবে চলাচল করে নাটোর শহরে। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় শহরের কানাইখালী এলাকায় যান চলাচলে হঠাৎ এমন পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়।
জানা যায়, শনিবার আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সমাবেশে স্থানীয় সাংসদ একাত্নতা ঘোষণা করলে রাস্তা ছেড়ে তারা ফিরে যেতে শুরু করে। এসময় কানাইখালী মাঠের সামনে শিক্ষার্থীরা সমবেত হয়ে কয়েকটি পিকআপ ও কাবার্ডভ্যানের গতিরোধ করে লাইসেন্স চেক করতে থাকে। দূর থেকে এ দৃশ্য দেখে, পেছনে কয়েকটি সারিতে চলাচল করা অটোরিক্সাগুলো নিজেরাই তড়িঘড়ি করে সারিবদ্ধ হয় এবং রাস্তার একপাশে অবস্থান করে। এতে করে রাস্তার অপর প্রান্ত পুরোটাই খালি হয়ে যায় বিপরীত দিক থেকে আসা যানবাহনের জন্য। ফলে স্বাচ্ছন্দ্যে চলাচল শুরু হয়।
যান চলাচলে এমন শৃঙ্খলাকে ‘ নজিরবিহীন’ বলছেন সাধারণ মানুষ। তাদের মতে, ট্রাফিক পুলিশ আজ অবধি যা করতে পারেনি বল প্রয়োগ করে, তা পেরেছে শিক্ষার্থীরা।
নাটোর পৌর মেয়র উমা চৌধুরী জলি জানান, শহরের যান চলাচল আরো সুশৃঙ্খল করা হবে। তবে এজন্য একটু সময় লাগবে। আপাতত সকলকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানান তিনি।