নাটোর অফিস ॥
নাটোর পৌরসভার নগর সমন্বয় কমিটির সভায় বর্জ অপসারন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ পেওর মেয়র সহ বিশিষ্টজনরা। মঙ্গরবার পৌর মিলনায়তনে মেয়র উমা চৌধুরী জলির সভাপতিত্বে নগর সমন্বয় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় পয়ঃবর্জ্য অপসারন ও পরিবেশ এবং কর নির্ধারন ও আদায় সংক্রান্ত আলোচনা করা হয়। সভায় মেয়র উমা চৌধুরী জলি পৌরসভার পয়ঃবর্জ্য অপসারনের ক্ষেত্রে নানা সমস্যার কথা তুলে করেন। মেয়র বলেন, শহরের বর্জ্য ফেলতে বাধা প্রদান করছেন স্থানীয়রা। শহর থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দুরে হরিশপুরে ফাঁকা এলাকায় কয়েকবছর আগে ‘ভাগাড়’ নির্মাণ করা হয়। এপর্যন্ত সেখানেই শহরের বর্জ্য ফেলা হয়েছে। সম্প্রতি সেখানে বসতি গড়ে উঠেছে। বর্তমানে সেখানে বসবাসরতরা ওই ভাগাড়ে বর্জ্য ফেলতে বাধা প্রদান করছে। ওই এলাকার জনসাধারনের সাথে একাধিকবার বৈঠক করেও তাদের কাছে থেকে সন্তোষজনক কোন উত্তর পাওয়া যায়নি। বিকল্প হিসেবে শহর সংলগ্ন জনবসতিশুন্য ভেদরা বিলের মধ্যে জমি ভাড়া নিয়ে ভাগাড় স্থাপনের উদ্দোগ নেয়া হয়। কিন্তু সেখানেও বাধা দেয়ার প্রস্তুতি চলছে। বর্তমানে এই পরিস্থিতিতে বর্জ্য অপসারনের সমস্যা দেখা দেয়ার কথা জানান তিনি। এছাড়া শহরে ডাষ্টবিন স্তাপনেও বাধা প্রদান করছেন শহরবাসীদের অনেকেই। ডাষ্টবিনের বিকল্প হিসেবে প্লাটিকের ড্রাম বসানো হলেও তা রাতের আধারে চুরি হয়ে যাচ্ছে। এমন ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন উপস্থিত বিশিস্টজনরা। পরিস্থিতি উত্তরনে তারা মেয়রকে পরামর্র্শ দিয়ে বলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তা,সংশ্লিষ্ট এলাকার জনপ্রতিধিদের সমন্বয়ে আলোচনা করা যেতে পারে। এছাড়া ভাগাড় এলাকায় সুইচ্চ প্রাচীর নিমার্নেরও পরামর্শ দেয়া হয়। সেক্ষেত্রে বিপুল অর্থের প্রয়োজন হবে। সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করনে,বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর অলোক মৈত্র,সাংবাদিক নবীউর রহমান পিপলু,হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান এক্য পরিষদ সভাপতি চিত্তরঞ্জন সাহা, প্রকৌশলী শাহিনুর রহমান,বিজলী রেজা, ওয়ার্ড কাউন্সিলর কোহিনুর বেগম পান্না প্রমুখ।