নাইমুর রহমান:
নাটোরসহ সারাদেশে নিরাপদ সড়ক চেয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে একাত্নতা ঘোষণা করে নাটোর-২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব শফিকুল ইসলাম শিমুল বলেছেন, ‘শিক্ষার্থীদের ৯দফা দাবী বাস্তবায়নে ইতোমধেই কাজ শুরু করেছে সরকার, যা প্রতি মুহূর্তেই পর্যবেক্ষণে রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নয় দফা দাবীর অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে নাটোরের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে যানবাহনের গতিরোধের জন্য স্পীড ব্রেকার নির্মাণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগকে। যতো দ্রুত সম্ভব তারা এ কাজ শুরু করবে।’
শনিবার শহরের মাদ্রাসামোড় এলাকায় শিক্ষার্থীদের অবস্খান কর্মসূচীতে অংশ নেন এমপি শিমুল। শিক্ষার্থীদের সকল দাবী যুক্তিসঙ্গত উল্লেখ করে লাইসেন্সবিহীন গাড়ির ব্যাপারে পুলিশকে কঠোর হবার নির্দেশ দিয়ে একে একে সব দাবী বাস্তবায়ন করা হবে জানিয়ে শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে ফিরে যাবার অনুরোধ করেন সাংসদ শিমুল। শিক্ষার্থীরাও শিমুলের কথা মেনে নিয়ে অবস্থান কর্মসূচী স্থগিত করে ফিরে যায়।
শিমুল বলেন, ‘তোমরা আমার সন্তানের মতো। আমার সন্তানের সাথে রাষ্ট্র কঠোর আচরণ করবে, তা আমিও মেনে নিবো না। তোমাদের পাশে ছিলাম আমি, আজও আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকবো। তোমরা আমাদের শৃঙ্খলার শিক্ষা দিয়েছো। তোমাদের নায্য দাবী আদায়ে সবসময় তোমরা আমাকে পাবে। শুধু একটাই অনুরোধ করবো যে, তোমরা শ্রেণিকক্ষে ফিরে যাও।’
সাংসদ শিমুলের বক্তব্য চলাকালে উপস্থিত এক শিক্ষার্থী তাঁকে থামিয়ে দিয়ে ‘সড়ক-মহাসড়কে অবৈধ নসিমন-করিমন ও লাইসেন্সবিহীন যানবাহন চালানোর সুযোগ দেয় টাকার বিনিময়ে’ জানালে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের সাথে একমত পোষণ করে পুলিশের উদ্যেশ্যে শিমুল বলেন, ‘আর যেন এসব অভিযোগ শুনতে না হয়। পুলিশের মধ্যে কারা এসব করে, তাদের চিহ্নিত করুণ। তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিন। কোন শিক্ষার্থী যেন আর অভিযোগ করার সুযোগ না পায়।’
সাংসদ শিমুলের এমন আশ্বাসের পর শিক্ষার্থীরা মাদ্রাসামোড় ছেড়ে চলে যায়। এর আগে ব্যস্ততম এ এলাকায় যানজটের সৃষ্টির হয়।