জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক॥কয়েকদিনের অব্যাহত বর্ষণে নাটোরের সিংড়া উপজেলার বেশ কিছু গ্রামীণ সড়ক যান চলাচলে অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সড়কগুলো মেরামত না করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সড়কগুলোর বিভিন্ন স্থানে কার্পেটিং উঠে সৃষ্টি হওয়া খানাখন্দ রীতিমত গর্তে পরিণত হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলো হলো নাটোর-বগুড়া মহাসড়কের সিংড়া হতে বাঁশের ব্রীজ, জামতলী-বামিহাল সড়ক, রাতাল-বিয়াস সড়ক, বিনগ্রাম-খোলাবাড়িয়া সড়ক, রাণীপুকুর-শালমারা সড়ক, বালুয়া বাসুয়া-চলনবিলের সড়কের কিছু অংশ, শেরকোল ইউনিয়নের তেলীগ্রাম-বারৈহাটি সড়ক এবং ছাঁতারদিঘী ইউনিয়নের বেশ কিছু সড়ক। সড়কগুলোর বেহাল দশার কথা স্বীকার করে দ্রুত মেরামতকাজ শুরু করার আশ্বাস দিয়েছেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপজেলা প্রকৌশলী।
বৃহষ্পতিবার ওইসব সড়ক ঘুরে দেখা যায়, রাস্তায় সৃষ্টি হওয়া গর্তে বৃষ্টির পানি জমে গেছে। আর কাদার কারণে বিপজ্জনক হয়ে পড়েছে মানুষ ও ছোট যানবাহনের চলাচল। মেরামত না করা সড়কের দু’পাশ ভেঙে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ হবার উপক্রম। দুই পাশ দিয়ে চলাচর করতে পারছেনা কোন যানবাহন। একদিক থেকে আগত যানবাহন পারাপারের সময় থামিয়ে রাখতে হচ্ছে অন্যদিক থেকে আগত যানবাহনগুলো। এতে যানবাহনের সাথে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষকে প্রতিনিয়ত চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
উজ্জল রায় নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘নাটোর-বগুড়া মহাসড়ক দেশের উত্তরাঞ্চলের অন্যতম প্রবেশদ্বার। এই সড়ক ব্যবহার করে প্রতিদিন উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন রুটে হাজার হাজার যানবাহন চলাচল করে। রাস্তায় খানাখন্দ সৃষ্টি কারণে এমনিতে প্রতিনিয়তই দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বৃষ্টির কারণে এখন তা বেড়ে গেছে কয়েকগুণ। এই অবস্থায় ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করতে হচ্ছে। ’
বিপ্লব হোসেন নামের অপর এক ব্যবসায়ী জানান, ‘জামতলী-বামিহাল সড়ক দিয়ে তিনটি ইউনিয়নের হাজারও লোকজন যাতায়াত করে। এ সড়কটি দীর্ঘদিন মেরামত বঞ্চিত থাকায় চলতি মৌসুমে বৃষ্টির পানিতে রাস্তায় খানাখন্দে পরিণত হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি হচ্ছে এ এলাকাগুলোর কৃষকদের। কৃষিপণ্য পরিবহন রীতিমতো কঠিন হয়ে পড়েছে।’
জামতলীর মানিকদিঘী গ্রামের কলেজ ছাত্র এনামুল হক বলেন, ‘যথাযথ কর্তৃপক্ষ স্বাভাবিক সময়ে এসব সড়কের কোনপ্রকার মেরামত বা সংস্কার করেনি। গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে তাই রাস্তাগুলো। চলাচলের অনুপযোগী হয়ে গেছে। দুর্ভোগ দিনদিন মাত্রা ছাড়াচ্ছে। আমরা দ্রুত এ পরিস্থিতির অবসান চাই।’
রাস্তাঘাটের বেহাল দশার কথা স্বীকার করে সিংড়ার স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রকৌশলী হাসান আলী বলেন, ‘সিংড়ার ত্র“টিপূর্ণ ও মেরামতযোগ্য রাস্তাগুলো চিহ্নিত করে ‘মেইনটেন্যান্স’র আওতায় আনা হয়েছে। আগামী এক মাসের মধ্যেই কাজ শুরু হবে। উপজেরা কোন সড়কই মেরামতহীন থাকবে না।’